![]() |
Graphic Designগ্রাফিক ডিজাইন |
গ্রাফিক ডিজাইনের শেকড় অনেক প্রাচীন হলেও ব্রিটেইন এ ১৯ শতকের শেষের দিকে ফাইন আর্ট থেকে আলাদা হয়ে গ্রাফিক ডিজাইন স্বতন্ত্র ভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর প্রিন্ট মিডিয়ার হাত ধরে আক্ষরিক ভাবে গ্রাফিক ডিজাইন এর পথ চলা শুরু আমেরিকান বই ডিজাইনার উইলিয়াম এডিসন ডুইজ্ঞিন্স এর হাত ধরে ১৯২২ সালের গোঁড়ার দিকে।
বাংলাদেশে গ্রাফিক ডিজাইনের যাত্রা মোটামুটি ভাবে বলা যায় ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে শুরু হয়। তখন আমাদের দেশের বিভিন্ন কোম্পানিগুলো কাজ করাতো প্রিন্ট মিডিয়া বা প্রেসগুলোর কাছ থেকে।
এখন আশার কথা হচ্ছে, গ্রাফিক ডিজাইন সেক্টর শুধু চাকরির উপর নির্ভর করে নয়, ফ্রিল্যান্সিং / আউটসোরসিং করেও প্রতি মাসে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব এবং অলেরেডি বিভিন্ন সেক্টরে গ্রাফিক্সের ব্যাবহারিক প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
গ্রাফিক ডিজাইনারের কর্মক্ষেত্রঃ
আপনি যদি নিজেকে একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তবে আপনার চাহিদা ব্যাপক। চাইলে অনলাইনে অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের স্ট্যাবলিস্ট একটা ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। অথবা যদি অফলাইনে কাজ করতে চান তবে প্রতিটি অফিস বা কোম্পানিতে একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে যেকোন রেপুটেড কোম্পানিতে একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে জয়েন করতে পারেন।
গ্রাফিক ডিজাইনার কি ধরনের কাজ করে থাকে?
আমরা যদি একটু চিন্তা করে দেখি আমাদের আশে পাশে কৃত্রিম যা কিছু আছে তার সবটাতেই গ্রাফিক্স এর ছোয়া রয়েছে। গ্রাফিক ডিজাইন সেক্টর মূলত অনেক বিস্তৃত, কোথায় নেই গ্রাফিক্সের প্রয়োজন?
ফ্যাশন ডিজাইন, টেক্সটাইল ডিজাইন, ইন্টেরিওর ডিজাইন, অ্যাড মেকিং, ব্রান্ডিং, প্রমোশন, লোগো, কার্টুন মেকিং, ইন্টারেক্টিভ মিডিয়া, টিভি মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, ওয়েব মিডিয়া, ফটোগ্রাফি, গেম ডিজাইন, ফাইন আর্ট, ইনফরমেশন মিডিয়া, মোবাইল অ্যাপ ডিজাইন ইত্যাদি অসংখ্য সেক্টরে এখন কাজের ছড়াছড়ি।
জব এর জন্য একজন গ্রাফিক ডিজাইনার এর যে দক্ষতাগুলো থাকা প্রয়োজন ঃ
- ক্লায়েন্টের বিজনেস এর ধরন সম্পর্কে জানা, প্রডাক্ট সম্পর্কে ধারনা লাভ, প্রডাক্টের প্রতিযোগী কারা এবং বাজার ও ক্রেতার অবস্থা সম্পর্কে জানা।
- ডিজাইন আইডিয়া বের করার জন্য প্রয়োজনীয় মুড বোর্ড, মক-আপ, স্কেচ ইত্যাদি তৈরি করার দক্ষতা।
- নতুনত্ব ও অভিনব প্রডাক্ট এর ডিজাইন তৈরি ও বর্তমান মার্কেট সম্পর্কে রিসার্চ করার ক্ষমতা ।
- প্রডাক্টের কোন ত্রুটি থাকলে তা ভিজুয়াল ক্রিয়েটিভিটির দক্ষতা দিয়ে সমস্যা সমাধানের মেধা।
- প্রডাকশন টেকনিক জানার পাশাপাশি প্রিন্ট মিডিয়া এবং ডিজিটাল মিডিয়া সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা জরুরি।
- যখন যে মিডিয়া যে কাজ করবে সেই মিডিয়ার কাজের সাথে জড়িত অন্যান্যদের সাথে স্বচ্ছ যোগাযোগ থাকতে হবে। যেমন ওয়েব এ থাকলে প্রোগ্রামারদের সাথে, কপিরাইটারদের সাথে, ডিজাইনারদের সাথে, প্রিন্টে থাকলে ফটোগ্রাফারদের সাথে, প্রেসের সাথে ইত্যাদি…।
- কাজের সময় বাজেট এবং সময়ের ধরা বাধা নিয়মকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
আরও কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য এবং টিপস ঃ
- ব্র্যান্ড এবং ব্র্যান্ডিং সম্পর্কে জানা।
- সমসাময়িক স্টাইল, গ্রাফিক্সের ইতিহাস এবং ভিজুয়াল আর্ট সম্পর্কে জানা থাকতে হবে।
- ক্রিয়েটিভ ফ্লায়ার, টাইপোগ্রাফি এবং লে আউট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা থাকতে হবে।
- যে কোন ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করার স্কিল থাকতে হবে।
- খুব ভালো কমিউনিকেশন স্কিল থাকতে হবে।
- টিম ওয়ার্ক এর মানসিকতা এবং হার্ড ওয়ার্কিং এর যোগ্যতা থাকতে হবে।
- এছাড়াও বেশী বেশী ম্যাগাজিন এর লে আউট, ফন্ট, কালার ইত্যাদি ফলো করা।
- বিভিন্ন অ্যাপস ইউজ করা ।
- বিভিন্ন ওয়েব সাইট ব্রাউজ করা।
- এবং মুভি বা চ্যানেল গুলো দেখার সময় বিভিন্ন ফন্ট এর ইউজ, বিভিন্ন দেশের মুভির প্লট দেখে কালার সেন্স সম্পর্কে ধারনা নেয়া।
ঘরে বসে গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে এখানে ক্লিক করুন
No comments:
Post a Comment