আমরা যখন একটি ওয়েবসাইট তৈরিরকরি, প্রথমেই যে জিনিসটার উপর গুরুত্ব দেই তা হলো ভিজটির। ভিজিটরহল একটি ওয়েবসাইটের প্রান। কি ভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো এবং ভিজিটর ধরে রাখাযায়তার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানবো।
তাহলে শুরু করা যাক। প্রথমে জানবো,সাইটে ভিজিটর কিভাবে বাড়ানো যায়।
1- সোশ্যাল মিডিয়া
যখন নতুন কোন ওয়েবসাইট তৈরী করার হয়। তখন সে ওয়েবসাইট সম্পর্কে কেউ জানে না। তাই ওয়েবসাইটটি টার্গেট ভিজিটরদের কাছে পৌছানোর সব থেকে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া।
আপনার যদি ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার প্রিন্টারেস্ট সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এইসব সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে ভিজিটর ডাইভার্ট করে আপনার ওয়েবসাইটে আনতে পারেন।
বর্তমান সময়ের সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া কোনো ওয়েবসাইটই খুব ভালো পজিশনে যেতে পারে না। একজন টিনেজার দিনের মধ্যে ৯ ঘন্টা সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে স্পেন্ড করে। যেখানে একজন পূর্ন বয়স্ক মানুষ দিনে ইউটিউবে ৪০মিনিট, ফেসবুকে ৩৫ মিনিট, স্নাপচ্যাটে ২৫মিনিট,ইন্সটাগ্রামে ১৫ মিনিট এবং টুইটারে ১ মিনিট সময় ব্যায় করে। এ থেকে বুঝে নেয়া যেতে পরে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ন।
2-সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
নতুন বা পুরনো যেকোনো ওয়েবসাইটেই ভিজিটর বাড়ানোর অন্যতম প্রধান একটি উপায় হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)।সার্চইঞ্জিন গুলোতে আমরা বিভিন্ন কী-ওয়ার্ড লিখে সার্চ করি, সার্চ রেজাল্টে প্রথমে যে ওয়েবসাইট গুলো আসে সেখান থেকে প্রথম 2-4 টা ওয়েবসাইট ই আমরা সাধারনত ভিজিট করে থাকি।
সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর মূল কাজই হলো ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে দেখানো। তবে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর পরিধি অনেক বড়, এটি শুরু করার আগে অনপেজ, অফপেজ, টাইটেল এবং ইমেজ অপটিাইজেশন, কীওয়ার্ড রিসার্চ, ট্যাগ, ব্যাকলিংক এই ব্যাপার গুলো সম্পর্কে পরিপূর্ন যানাথাকতে হবে।
3- ফোরম পোষ্টিং / প্রশ্ন-উত্তর সাইট
ওয়েবসাইটে ভিজিটর ভাড়ানোর একটি উত্তম উপায় হলো ফোরাম পোষ্টিং। ফোরাম এবং প্রশ্ন-উত্তর সাইটগুলোতে মানুষ বিভিন্ন ব্যাপারে জানতে চেয়ে পোষ্ট করে। সেখানে ভিজিটর যে বিষয়ে জানতে চায় সে সম্পর্কে কিছু তথ্যগুলোতে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দিলে ওই সাইট গুলো থেকে ট্রাফিক আপনার সাইটে যাবে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে যে সাইটগুলোতে উত্তর দেয়ার সময় যেনো সঠিক নিয়মে করা হয়। অনেক ফোরাম সাইট আছে যেগুলো অন্য ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করা নিষেদ। এসকল সাইটে কাজ শুরু করার আগেই আপনাকে এদের নিয়মগুলি ভালো ভাবে দেখে নিতে হবে।
4-ভিডিও মার্কেটিং
এটি ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার অণ্যতম আরেকটি মাধ্যম। ভিডিও শেয়ারিং ওয়বেসোইট গুলোতে নিশ রিলেটেড ভিডিও পোষ্ট করে ডিসক্রিপশনে ও কমেন্ট বক্সে ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করে ওই ভিডিও থেকে ভিজিটরকে নিজের ওয়বেসোইটে পাঠিয়ে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানো যেতে পারে।
· https://vimeo.com
· http://www.ustream.tv
5- ব্লগ কমেন্ট
ওয়েবসাইটে ভিজিটর অনার আরেকটি পদ্ধতি হল ব্লগ কমেন্ট করা।নিশ রিলেটেড ব্লগ গুলো খুজে বের করে কমেন্ট অপশনে কমেন্ট করে সাইটের লিংক হাইপার লিংক করে দিতে হয়। এর ফলে সেই লিংকের মাধ্যমে ওই ব্লগের ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে।
এটি (SEO) এর ভাষায় বলাহয় ব্যাক লিংক। এতে যেমন সাইটে ভিজিটর আসে তেমনি গুগল সার্চ রেজাল্টেও সাইট প্রথম দিকে চলে আসে। তবে ব্লগ কমেন্ট বা ব্যাংকলিংক করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে সাইট থেকে আমরা ব্যাকলিংক নিচ্ছি সেটা যেনো অবশ্যই নিশ রিলেটেড হয়। তা না হলে গুগস সেই ব্যাক লিংককে ভ্যালু দিবে না।
এতখন আলোচনার মাধ্যমে আমরা ওয়বসাইটে কিভাবে ভিজিটর আনা যায় সে ব্যাপারে ধারনা হল।আরো একটা বিষয় যে, ওয়েবসাইটে শুধু ভিজিটর আনলেই হবে না। সেই ভিজিটরকে অবশ্যই ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এর বাইরে দেখাযায় অনেক ভিজিটর ওয়েবসাইট লোড হওয়ার পরপর ই ভিজিটর সাইট টি বন্ধ করে দেন। এটা যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য খুবই খারাপ লক্ষন। ওর ফলে ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট বেড়ে যায়।এবার আমরা বুঝতে পারলাম একজন ভিজিটরকে শুধু ওয়েবসাইটে ভিজিট করালেই হবে না। তাকে ওযেবসাইটের অন্যপেজগুলোতে নিয়ে যাওয়ার মতো কন্টেন্ট ওয়েবসাইটে রাখতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে আশাকরি এই আর্টকেল পড়ে ওয়েবসাইটের ভিজিটরকিভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপার কিছু ধারনা পেয়ছেন। আবার একদিন হাজির হবো কিভাবে সাইটে ভিজিটর ধরে রাখা যায়।
দয়াকরে আর্টিকেলটি সবার সাথে শেয়ার করুন। আপনারা পোষ্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন। কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমাকে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment