দিন দিন যেমন বাড়ছে স্মাটফোন ব্যবহার, সাথে বাড়ছে স্মার্টফোনের নিরাপত্তাজনিত ঝামেলার। অপারেটিং সমস্যা ও ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ঘটনা ঘটছে। আর অন্তরঙ্গ ছবিসহ গুরুত্বপূর্ণ টেক্সট ফাঁস হওয়ার খবর নিয়মিত হচ্ছে। আর প্রতিষষ্ঠানগুলো পাল্লা দিয়ে সংযোজন করছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সব প্রযুক্তি ও অ্যাপস। আমাদের ইচ্ছা নিজের ফোনটি যেন নিরাপদ থাকে। কারণ প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে হ্যাকারাও ততটাই উন্নত হচ্ছে। আসুন জেনে রাখি কি ভাবে নিজের স্মাটফোনটি নিরাপদ রাখব।
# অ্যাপ ইন্সটল #
বিভিন্ন কৌশলে মোবাইল হ্যাকি ও মোবাইলের তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে হ্যাকাররা। তাই ফোনে অহেতুক অ্যাপ ইন্সটল না করা, অচেনা-অজানা প্রেরকের মেইলের লিংকে ক্লিক না করা। কেননা এসবের আড়ালে হ্যাকাররা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ফোনে ভাইরাস পাঠায়। এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করাই উত্তম।
# স্ক্রিন লক বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার #
স্মার্টফোনটি নিরাপদে রাখতে স্ক্রিন লক অথবা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। কেননা ভুলেবসত ফোনটি কোথায় রেখে আসলে অন্য কেউ স্মার্টফোনটিতে প্রবেশ করে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। আর হারিয়ে গেলেও ব্যক্তিগত তথ্য চুরির হওয়ার আশংকা থাকে। তাই সব সময় স্ক্রিন লক ব্যবহার করা উচিত। আর পাসওয়ার্ডটি শক্তিশালী হতে হবে, যাতে মোবাইল চোর বা হ্যাকাররা সহজেই মোবাইল থেকে তথ্য চুরি করতে না পারে।
# মোবাইল ব্যাকআপ #
আপনার মোবাইলের ব্যাকআপ রাখুন। কম্পিউটারে, মেমোরি কার্ড বা ক্লাউডে ব্যাকআপ রাখুন। ফোন চুরি বা হারিয়ে গেছে তা যেন উদ্ধার করা যায়।
# মোবাইল আপডেট #
মোবাইলের ক্ষমতা বুঝে সিস্টেম আপডেট দিতে হবে। নতুন অপারেটিং সিস্টেম আসলে তা সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে আপডেট দেওয়া যাবে না, আগে দেখতে হবে সেটা আপনার মোবাইলে সেটআপ নিবে কিনা।
# জিপিএস বা ব্লুটুথ #
স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখতে হলে সব সময় ব্যবহারের পর জিপিএস, ব্লুটুথ বা ফোনের অন্যান্য তারবিহীন যোগাযোগের সিস্টেম বন্ধ করে রাখুন। এগুলো চালু থাকলে হ্যাকাররা সহজেই আপনার মোবাইল থেকে তথ্য চুরি করতে পারবে।
# এন্টি ভাইরাস ব্যবহার #
মোবাইলে যেন ভাইরাস ঢুকতে না পারে সেজন্য সচেতন থাকতে হবে। অনেক সময় ব্যবহারকারীদের অজান্তেই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই নিরাপত্তার জন্য এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। অ্যান্ড্রয়েডের প্লেস্টোরে বা অ্যাপলের আইওএসে রয়েছে নানা এন্টিভাইরাস অ্যাপ। মোবাইল সুরক্ষার জন্য এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। কারণ ভাইরাসওয়ালা কম্পিউটারের সঙ্গে ফোন যুক্ত করলে তাতে ভাইরাস অ্যাটাক করতে পারে।
# রিকোভারী অ্যাপ #
হারানো মোবাইলটি খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে। আমরা আগে থেকে যদি রিকোভারী অ্যাপ ইনস্টল করে রাখি। যদি মোবাইল চুরি হয় অথবা হারিয়ে যায় দুর থেকেই সেটা লক করে দেওয়া এবং সংরক্ষিত তথ্য মুছে ফেলা সম্ভব। অ্যাপের সাহায্যে বিশেষক্ষেত্রে জিপিএস ব্যবহার করেমোবাইলের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment